সৌদি আরবে আজ শুক্রবার (৬ জুন) ১০ জিলহজ, হজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন এবং পবিত্র ঈদুল আজহার দিন। হজপালনের ধারাবাহিকতায় হাজিদের জন্য এটি ব্যস্ততম ও আচার-অনুষ্ঠানে পূর্ণ একটি দিন। অন্যদিকে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আজ ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
তবে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী, হজের সফরে থাকা হাজিদের জন্য ঈদের নামাজ ওয়াজিব নয়। বিদায় হজে তিনি ঈদের দিন ঈদের নামাজ না পড়ে জামরা আকাবায় (বড় শয়তান) পাথর নিক্ষেপ করেন, এরপর মিনায় পশু কোরবানি দেন এবং তারপর কাবা শরিফে গিয়ে জোহরের নামাজ আদায় করেন। ফলে হজের সময় হাজিদের ঈদের নামাজ আদায়ের বিধান রহিত করা হয়েছে। কারণ এ দিন হাজিরা শারীরিকভাবে চরম ব্যস্ততা ও ক্লান্তির মধ্য দিয়ে থাকেন।
এদিকে, মক্কাবাসী এবং হজে অংশগ্রহণ না করা মুসল্লিরা আজ ঈদুল আজহার জামাতে অংশ নেন। মসজিদুল হারামে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৫টা ৫২ মিনিটে। জামাতে ঈদের খুতবা ও নামাজ পড়ান শায়খ ড. মাহের আল-মুয়াইকলি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) হজযাত্রীরা আরাফাতের ময়দানে সারাদিন অবস্থান করেন এবং সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ না পড়ে সরাসরি মুজদালিফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। প্রায় আট কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুজদালিফায় পৌঁছে এক আজানে ও পৃথক ইকামতে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করেন। সেখানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়ে হাজিরা মিনায় জামারায় (প্রতীকী শয়তান) পাথর নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করেন।
হাজিদের জন্য মুজদালিফায় অবস্থান করা ও পাথর সংগ্রহ করা হজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াজিব। আজ ঈদের দিন হাজিরা বড় জামরায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, কোরবানি, মাথা মুণ্ডন বা চুল ছাঁটাসহ হজের অন্যান্য মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
এই দিনটির মাধ্যমে হজযাত্রীদের জন্য শুরু হয় হজের শেষ ধাপের আনুষ্ঠানিকতা, যা ঈদের পর আরও কয়েকদিন ধরে চলবে।