মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আজ শনিবার (৭ জুন) দেশে যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের মহিমায় উদযাপিত হবে। আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা—আত্মত্যাগ ও আনুগত্য—প্রকাশ করবেন।
ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৭টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে এই জামাত সকাল ৮টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, প্রতিবছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, এরপর যথাক্রমে সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও ১০টা ৪৫ মিনিটে বাকি জামাতগুলো আদায় হবে।
এরই মধ্যে ঈদের নামাজের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছে জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের বিভিন্ন ঈদগাহ ও মসজিদ। ভোর থেকেই মুসল্লিরা সেখানে জড়ো হবেন ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের জন্য। নামাজ শেষে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কোরবানির পশু জবাইয়ের মাধ্যমে আল্লাহর নির্দেশ পালন করবেন মুসলমানরা।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রায় চার হাজার বছর আগে হজরত ইব্রাহিম (আ.) আল্লাহর নির্দেশে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি দিতে উদ্যত হন। আল্লাহর প্রতি তাঁর এই সর্বোচ্চ আনুগত্যের পুরস্কারস্বরূপ ইসমাইল (আ.)-এর বদলে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। এই ঘটনার স্মরণে মুসলমানরা প্রতিবছর ঈদুল আজহায় কোরবানি দিয়ে থাকেন।
সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব। ঈদের দিন ছাড়াও পরবর্তী দুই দিন, অর্থাৎ সোমবার আসরের ওয়াক্ত পর্যন্ত কোরবানি করার সুযোগ রয়েছে। কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগ করে এক ভাগ গরিব ও মিসকিনদের, এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের এবং এক ভাগ নিজের পরিবারের জন্য রাখার নিয়ম রয়েছে।
ত্যাগ ও আত্মোৎসর্গের এই দিনটি যেন আমাদের জীবনেও নৈতিকতা, সহানুভূতি ও মানবিকতা চর্চার প্রেরণা হয়ে ওঠে—এটাই প্রত্যাশা।