পবিত্র ঈদুল আজহার পর রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে। তবে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন আড়তদাররা। লোকসানের আশঙ্কায় তারা চামড়ার দাম কমিয়ে দিচ্ছেন, ফলে চামড়া বিক্রেতা ও ফড়িয়াদের সঙ্গে চলছে টানাপড়েন ও দরকষাকষি।
ঈদের দিন সকাল ১০টা থেকেই রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় কোরবানির চামড়া নিয়ে আসেন বিক্রেতা ও ফড়িয়ারা। এখান থেকে চামড়া পাঠানো হয় পোস্তা কিংবা সাভারের বিভিন্ন আড়তে। বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন, চামড়ার মান অনুযায়ী তারা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না।
সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর আড়ত এলাকায় দুপুর ১২টার পর থেকে চামড়াবাহী ইজিবাইক ও অটোরিকশার ভিড় বাড়তে থাকে। সেখানে গরুর চামড়ার দাম মানভেদে প্রতি পিস ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং ছাগলের চামড়া মাত্র ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাভার কাঁচা চামড়া আড়ত মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক (সোহরাব) বলেন, “সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা সম্ভব নয়। চামড়ার সঙ্গে লবণ, শ্রমিক ও পরিবহণ খরচ যোগ করলে লোকসান হবেই।”
চলতি বছর হেমায়েতপুরের আড়তগুলোতে চার লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঈদের পর ১০ দিন দেশের অন্যান্য জেলার চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে সরকার একটি নির্দেশনায় চামড়ার দাম নির্ধারণ করে। সেখানে ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সর্বনিম্ন দামে ঢাকায় গরুর কাঁচা চামড়া ১,৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া খাসির চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা ও বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।