যশোর সদর হাসপাতালে ঘটে গেছে এক মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা, যা হতবাক করেছে চিকিৎসক, নার্স ও রোগীদের।
গতকাল (১৯ জুন) রাতে পেটের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের রত্না বিশ্বাস (৩৬)। তিনি রমেশ বিশ্বাসের স্ত্রী। ভোররাত আনুমানিক ৪টার দিকে মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের ওয়াশরুমে গিয়ে কোনো চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই একটি পুত্র সন্তান প্রসব করেন তিনি।
প্রসবের পরপরই ভয়ংকর এক ঘটনা ঘটে। রত্না বিশ্বাস নিজেই নবজাতককে নিজের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করেন এবং তাকে হত্যার চেষ্টা করেন। ওয়াশরুমে থাকা বদনার পানি নবজাতকের মুখে ঢেলে শিশুটির শ্বাসরোধের চেষ্টা চালান তিনি।
চিৎকার শুনে দ্রুত ছুটে আসেন কর্তব্যরত নার্সরা এবং নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নবজাতক ইউনিটে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে শিশুটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছে। রত্না বিশ্বাসকেও গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
স্বামী রমেশ বিশ্বাস জানিয়েছেন, রত্না দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক রোগে ভুগছেন এবং পরিবার থেকে তার চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল।
ঘটনাটি হাসপাতালজুড়ে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের নার্সরা জানিয়েছেন, তাদের কর্মজীবনে এমন হৃদয়বিদারক ও নজিরবিহীন ঘটনা আগে কখনো দেখেননি।