1. live@media71bd.com : Media71 : Media71
  2. info@www.media71bd.com : Media 71 :
সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

আওয়ামীলীগের পার্টি অফিস কলকাতায়

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ৮ আগস্ট, ২০২৫

ছাত্র-জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ ও দেশত্যাগ করেন। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এরপর দলটির বহু নেতা-কর্মী প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যান। কলকাতা ও আশপাশে অনেকে বসবাস শুরু করেন এবং একটি বাণিজ্যিক কমপ্লেক্সের আটতলায় গোপনে খুলে ফেলেন দলীয় অফিস। বাইরে থেকে দেখে এটি কোনো রাজনৈতিক কার্যালয় বলে বোঝার উপায় নেই—নেই সাইনবোর্ড, ছবি বা দলীয় চিহ্ন।

আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, ইচ্ছাকৃতভাবেই পরিচিতি গোপন রাখা হয়েছে। পুরনো অফিসের ফার্নিচার ব্যবহার করে এখানে নিয়মিত ছোট বৈঠক হয়, যেখানে ৩০-৩৫ জন বসতে পারেন। বড় বৈঠকগুলো রেস্টুরেন্ট বা ব্যাংকোয়েট হলে ভাড়া করে অনুষ্ঠিত হয়।

পালিয়ে যাওয়া নেতা-কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সভাপতি-সম্পাদকসহ প্রায় ২০০ জন। বর্তমানে প্রায় ৮০ জন সাবেক বা বর্তমান এমপি কলকাতা ও আশপাশে আছেন। কেউ পরিবার নিয়ে থাকছেন, কেউবা অন্য দেশে চলে গেছেন। সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতারাও নিয়মিত এই অফিসে আসেন, যদিও নির্দিষ্ট খোলার সময় নেই।

ভারত থেকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে নেতাদের বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন মনে করেন, পুরো দল ভারত থেকে চলছে—এ ধারণা ঠিক নয়, কারণ বেশিরভাগ নেতাই এখনও বাংলাদেশে আছেন। তবে দলীয় সূত্রে জানা যায়, শেখ হাসিনা দিল্লির কাছাকাছি অবস্থান করছেন এবং রাজনৈতিক দিকনির্দেশ মূলত সেখান থেকেই দেওয়া হয়। দলীয় যোগাযোগের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম গ্রুপ এবং ভার্চুয়াল মিটিং ব্যবহৃত হচ্ছে, যেখানে মাঝে মাঝে শেখ হাসিনাও যোগ দেন।

পালিয়ে থাকার কারণ নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রাক্তন এমপি পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, দেশে থাকলে হয় জেলে থাকতে হতো বা প্রাণহানির ঝুঁকি ছিল। বিদেশ থেকে সংগঠিত হয়ে রাজনৈতিক লড়াই চালানোই ছিল বাস্তবসম্মত পথ। তিনি ১৯৭১ সালের প্রবাসী সরকারের উদাহরণও টানেন।

বর্তমানে আওয়ামী লীগের অবস্থান—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক বছরের কর্মক্ষমতা ব্যর্থ প্রমাণ করা। সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, অর্থনীতি থেকে বিচারব্যবস্থা—সবক্ষেত্রেই সরকার ব্যর্থ হয়েছে, আর এখন তারা শেখ হাসিনা ও ভারতের ওপর দায় চাপাচ্ছে।

দল ও ব্যক্তিগত খরচ চালাতে প্রবাসী নেতা-কর্মীরা দেশে-বিদেশে থাকা শুভাকাঙ্ক্ষীদের ওপর নির্ভর করছেন। অনেকের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে—যারা ঢাকায় গাড়ি ছাড়া চলতেন না, তারা এখন কলকাতায় গণপরিবহন ব্যবহার করছেন, একসঙ্গে ফ্ল্যাট ভাড়া নিচ্ছেন এবং খরচ ভাগাভাগি করে চলছেন।

তারা কতদিন বিদেশে থাকবেন, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। ওবায়দুল কাদেরের ভাষায়, “দিনক্ষণ ঠিক করে রাজনৈতিক লড়াই হয় না, আর লড়াই ছাড়া উপায়ও নেই।”

তথ্যঃ বিবিসি বাংলা

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, আমাদের প্রকাশিত সংবাদ, কলাম, তথ্য, ছবি, পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার অপরাধ।
ওয়েবসাইট ডিজাইন : ইয়োলো হোস্ট
error: Content is protected !!