পবিত্র রমজান মাস আত্মশুদ্ধি, ইবাদত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের এক অনন্য সময়। এই মাসকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়—রহমতের দশক, মাগফিরাতের দশক ও নাজাতের দশক। রমজানের শেষ দশ দিন ‘নাজাতের দশক’ নামে পরিচিত, যা জাহান্নাম থেকে মুক্তির বার্তা বহন করে।
এই দশ দিনের বিশেষত্ব হলো, এ সময় মহান আল্লাহ বান্দাদের গুনাহ মাফ করে দেন এবং তাকওয়াপূর্ণ জীবনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ দেন। এই দশকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাত লাইলাতুল কদর, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কুরআনে বর্ণিত হয়েছে, এ রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন এবং আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়।
নাজাতের দশকে বেশি বেশি ইবাদত, তওবা, জিকির ও কুরআন তিলাওয়াত করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) এই দিনগুলোতে ইতেকাফ করতেন এবং গভীর ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। মুসলমানদেরও উচিত এ দশকে নিজেদের আত্মশুদ্ধিতে মনোযোগী হওয়া, দান-সদকা করা এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা।
এ সময় আমরা যদি অন্তর থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করি, আল্লাহ আমাদের গুনাহ মাফ করবেন। রমজানের এই শেষ দশক আমাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে, যদি আমরা আল্লাহর কাছে আন্তরিকভাবে আত্মসমর্পণ করি। তাই, নাজাতের এই মহিমান্বিত সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।