
বয়স ৪০ পার হওয়ার পর অনেকের মধ্যেই হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। শুধু বয়স বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন নয়, বরং আরও বেশ কিছু কারণ এতে ভূমিকা রাখে।
✅ হার্ট অ্যাটাকের মূল কারণসমূহ
- ধমনীতে ব্লকেজ: কোলেস্টেরল জমে ধমনীর পথ সরু হয়ে যায়, রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।
- উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস: এই দুটি সমস্যা হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
- মানসিক চাপ: স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
- বংশগত কারণ: পরিবারে হৃদরোগের ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
- অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস: ধূমপান, অ্যালকোহল, ফাস্ট ফুড, কম ঘুম ইত্যাদি ক্ষতিকর।
- অতিরিক্ত ওজন: বিপাকক্রিয়া কমে গিয়ে ওজন বেড়ে যায়, যা হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ ফেলে।
✅ সুস্থ মানুষও কেন আক্রান্ত হন?
- অজানা ব্লকেজ: অনেক সুস্থ ব্যক্তির ধমনীতে গোপনে ব্লকেজ থাকতে পারে।
- চরম ব্যায়াম: হঠাৎ বেশি ব্যায়ামে হৃদযন্ত্রের ওপর চাপ পড়ে।
- ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি: অতিরিক্ত ঘামে প্রয়োজনীয় মিনারেলস কমে যায়।
- ক্যাফিন ও এনার্জি ড্রিংকস: অতিরিক্ত গ্রহণ হৃদস্পন্দন বাড়ায়।
⚠️ হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
- বুকে ব্যথা বা চেপে ধরা অনুভূতি
- কাঁধ, বাহু, পিঠ বা ঘাড়ে ব্যথা
- হঠাৎ অতিরিক্ত ঘাম
- শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা দুর্বলতা
- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
✅ প্রতিরোধে করণীয়
- সুষম খাদ্য: কম চর্বি ও লবণযুক্ত খাবার, বেশি শাকসবজি ও আঁশ।
- নিয়মিত ব্যায়াম: প্রতিদিন হালকা থেকে মাঝারি ব্যায়াম করুন।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ: উচ্চতা অনুযায়ী স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখুন।
- ধূমপান ও অ্যালকোহল বর্জন করুন।
- মানসিক চাপ কমান: মেডিটেশন, ঘুম ও কাজের ভারসাম্য রাখুন।
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা: রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল পরীক্ষা এবং প্রয়োজনে ইসিজি/ইকো করুন।
৪০-এর পর হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়লেও সচেতন জীবনযাপন, সঠিক অভ্যাস এবং নিয়মিত পরীক্ষা ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে।