অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, এবারের বাজেট হবে ব্যবসাবান্ধব, তবে তাতে বড় প্রতিষ্ঠানগুলিকে বাড়তি সুবিধা না দিয়ে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার চেষ্টা থাকবে। একটি জাতীয় দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের এই অভিপ্রায়ের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, এবারের বাজেট হবে বাস্তবভিত্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য। “গতানুগতিক বাজেট নয়, বরং এমন একটি বাজেট দেওয়া হবে, যা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।” বাজেট প্রণয়নে আন্তর্জাতিক সহায়তার বিষয়েও তিনি বলেন, “আইএমএফসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা থেকে বাজেটে সহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। সহায়তা না পাওয়া গেলে বাজেট দেওয়া কঠিন হয়ে যেত। তবে যথাসম্ভব অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ থাকবে।”
ড. সালেহউদ্দিন জানান, এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য হবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং সমতাভিত্তিক ও কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বাজেটের অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ হিসেবে তিনি মূল্যস্ফীতিকে চিহ্নিত করেন। বর্তমানে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের কাছাকাছি হলেও ডিসেম্বরের মধ্যে তা ৭.৫ থেকে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ধুঁকতে থাকা ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ব্যবসাকে সম্প্রসারিত করা। এটি করা গেলে প্রত্যেক মানুষ এর সুফল পাবে।” তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি অলিগার্ক (নির্দিষ্ট শ্রেণির প্রভাবশালী গোষ্ঠী) তৈরি হয়, তাহলে অন্যরা সুবিধা পায় না।”
ব্যবসার মানোন্নয়নের জন্য ছোট ছোট ফার্ম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এতে গুণগত মান বাড়বে। এসএমই ডেটাবেইজ তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়া ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ তহবিল রয়েছে, যা প্রয়োজনে বাড়ানো হবে বলেও জানান ড. সালেহউদ্দিন।