খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক শেখ শরীফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। এই ঘোষণার পর আমরণ অনশন প্রত্যাহার করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, “সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। অনতিবিলম্বে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এই দুটি পদে নতুন নিয়োগ দেওয়া হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব দেওয়া হবে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে ছাত্রদল-যুবদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। এই ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এই বহিষ্কারের প্রতিবাদ এবং উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে ২৯ শিক্ষার্থী আমরণ অনশনে বসেন। বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে সরকারের পক্ষ থেকে ভিসি ও উপ-ভিসিকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করার ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা অনশন প্রত্যাহার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করে আলটিমেটাম দিয়েছিল।