জামালপুরে জলবায়ু-সহিষ্ণু মালচিং প্রযুক্তি দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এটি জমির আর্দ্রতা ধরে রাখে, আগাছা ও পোকামাকড় দমন করে এবং সেচ ও সার ব্যবহারের খরচ কমায়, ফলে ফলন বাড়ছে।
দেওয়ানগঞ্জের কৃষক নূর সালাম প্রথমবার মালচিং পদ্ধতিতে ১০ শতাংশ জমিতে টমেটো চাষে সফলতা পেয়েছেন। তার দেখাদেখি অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষক মিলন বলেন, “নূর ভাইয়ের টমেটো চাষ দেখে আমরাও মালচিং পদ্ধতি গ্রহণ করবো।”
এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে অস্ট্রেলিয়ান এনজিও কো-অপারেশন প্রোগ্রামের অর্থায়নে ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘ জেসমিন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প ব্যবস্থাপক স্টিফেন অসীম চ্যাটার্জী জানান, জামালপুরের চার উপজেলায় ২৫ হাজার কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাকিয়া সুলতানা বলেন, “এবার জেলায় ২৪ হেক্টর জমিতে দেড় শতাধিক কৃষক মালচিং পদ্ধতিতে মরিচ, টমেটো, বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছেন। এতে উৎপাদন বাড়ছে ও জমির আর্দ্রতা সংরক্ষিত থাকছে।”