ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ও অলিখিত ফাইনালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ এখন ১–১ সমতায়, তাই আজকের ম্যাচেই নির্ধারণ হবে কার হাতে উঠবে ট্রফি।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে। বাংলাদেশ দলনেতা টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পাশাপাশি আগের একাদশেই আস্থা রেখেছেন।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় নিশ্চিতের দ্বারপ্রান্তে থেকেও সুপার ওভারে পরাজয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে পছন্দের উইকেট বানিয়েও এখন সিরিজ হারের শঙ্কায় টাইগাররা। তাই আজকের ম্যাচটি শুধুই ফাইনাল নয়—এটি মর্যাদা ও মান রক্ষার লড়াই।

প্রায় আড়াই বছর পর ঢাকায় ওয়ানডে ক্রিকেট ফিরেছে এই সিরিজ দিয়েই। তিন ম্যাচে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়—স্পিনারদের দাপট। আগের ম্যাচে দুই দল মিলিয়ে ৯২ ওভার বল করেছেন স্পিনাররা। ধীরগতির ম্যাচের শেষের সুপার ওভার নাটকীয়তা এখন পুরো সিরিজকেই করেছে রোমাঞ্চকর।

আজকের ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে একাধিক প্রাপ্তির সুযোগ।

• ঘরের মাঠে দেড় দশক ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ।

• ২০২৪ সালের মার্চের পর এটি হতে পারে তাদের প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জয়।

• একইসঙ্গে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতার দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচ।

তবে পরিসংখ্যানের খাতায় দুই দলই সমানভাবে চাপে। চলতি দশকে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি হারের রেকর্ড ক্যারিবিয়ানদের—গত পাঁচ বছরে ৪৩ ম্যাচে পরাজয়। বাংলাদেশও পিছিয়ে নয়—৮১ ম্যাচে হেরেছে ৪১টিতে। ফলে আজকের জয়-পরাজয় দুই দলেরই পরিসংখ্যান বদলে দিতে পারে।

মিরাজের নেতৃত্বে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হাতছাড়া হলেও, সেই হতাশা ভুলে সিরিজ জয় দিয়েই ট্রফি হাতে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে চায় বাংলাদেশ।
আজ মিরপুরে তাদের লক্ষ্য একটাই—১৯ মাস পর নতুন ওয়ানডে সিরিজ ট্রফি ঘরে তোলা।